ক’দিন আগেও পালটে প্রোফাইল
বন্ধু তুমি লাল ছিলা,
আপনজনকে শিক্ষা দিতে
বিষের গরল ঢালছিলা!
আগস্ট মাসের পাঁচ তারিখে
স্বাধীন নাকি হইছিলা!?
এরে ওরে শাসাইতা খুব–
‘পন্রো বছর কই ছিলা’!
পরিচিত কাছের মানুষ
রেহাই পায়নি স্বজনে,
ঈর্ষাকাতর স্ট্যাটাস দিতা
ডজনে ও ডজনে।
যাদের সঙ্গে কাটাইতা দিন
কাটাইতা রাইত অতীতে,
তোমার বলির পাঁঠা হইলো
তারাই দ্রুত গতিতে!
কারণ তারা তোমার থিকা
সেরা বইলা স্বীকৃত!
বন্ধু তোমার কুপিত মন
লোকসমাজে ধিকৃত।
হঠাৎ তুমি আলাদীনের
চেরাগ হাতে পাইছিলা?
তড়িঘড়ি জীবন তরী
উলটা স্রোতে বাইছিলা!
একাত্তরের রিপ্লেসমেন্ট
চব্বিশে হয় কীভাবে!
তিরিশ লক্ষ প্রাণের আগুন
বানের জলে নিভাবে!?
তোমার লাল-এর ফিনকি পিনিক
কমতে কমতে ‘নাই’ হলো,
ঠিক যেমনটি হবার কথা
তোমার কিন্তু তা-ই হলো!
বিপ্লবীরা প্রথম প্রথম
তোমারে খুব লাই দিছে,
আখেরে যা দেওয়ার কথা
দিনের শেষে তা-ই দিছে!
পয়লা পয়লা ব্যাপক চুমা
খুব স্বাগত জানাইছে,
(বন্ধু তোমার নামের আগে
লাল বদরটা মানাইছে!)
এখন ওদের লাত্থি গুঁতায়
জীবন তোমার অতিষ্ট!?
আলবদরদের পরেই দেখি
লালবদররা প্রতিষ্ঠ!
এরে ওরে ধামকি দিতা
ইশারা আর ইংগিতে,
শান দিছো খুব গজিয়ে ওঠা
তোমার নতুন শিংগিতে!
তোমার শিং কে ভাইঙ্গা দিলো?
নতুন তোমার বাপজানে?
তোমার কাঁধের দুই মুহুরি
তোমার সকল পাপ জানে!
সেই মুহুরি লেইখা রাখছে
তোমার সকল হিস্টরি,
ইতিহাসের শিক্ষা খাতে
এইটা বিরাট মিস্টরি!
লালবদরের সিলটা তোমার
পিছন পিছন দৌড়াবে!
উষ্টা খাইয়া পইড়া তুমি
সারা জীবন লৌড়াবে!!
তোমার লাল্টু সহযোদ্ধাই
পিণ্ডি তোমার চটকাবে,
প্রকাশ্যে আর দিবালোকে
ঘাড়টা তোমার মটকাবে।
তুমি এখন নও নিরাপদ
সেই অভিযোগ জানাতে–
লাল বন্ধুর দাবড়ানিতে
যাইবা তুমি থানাতে!
সেকেন্ড স্বাধীনতার ঠ্যালায়
নাচিতে ও নাচিতে–
নিরাপত্তা চাইবা তুমি
লালের থিকা বাঁচিতে!
আজকে তুমি লাল নও আর,
কিন্তু গতকাল ছিলা!
(লেজটা এখন গুটিয়ে নিলেও
তুমি কিন্তু লাল ছিলা!)
-অটোয়া ১২ মার্চ ২০২৫